অর্জনসমূহ
রাষ্ট্রপতি ও ফায়ার সার্ভিস পদক প্রদানঃ
এ বিভাগের কর্মীদের বীরত্বপূর্ণ ও দৃষ্টান্তমূলক সেবা কার্যক্রমের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য ২০ বছর পর আবার চালু হয়েছে রাষ্ট্রীয় সম্মানজনক পদক প্রদান। ঝুঁকিপূর্ণ ও সাহসিকতামূলক কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ রাষ্ট্রপতি ফায়ার সার্ভিস পদক ও রাষ্ট্রপতি সিভিল ডিফেন্স পদক প্রদান করা হয়। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস পদক ও বাংলাদেশ সিভিল ডিফেন্স পদক প্রদান করা হয়।
রোটারি ক্লাবের সম্মাননা লাভঃ
এ অধিদপ্তরের উজ্জীবিত কর্মীদের অগ্নি নির্বাপণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের সাহসিকতার কারণে রোটারি ক্লাব অব ধানমন্ডি ২০১০ সালে অত্র অধিদপ্তরের ৫ জন কর্মীকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করে। ২০১১ সালেও তারা ৫ জন কর্মীকে সম্মাননা পুরস্কার প্রদান করেছে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের সদস্য পদ লাভঃ
বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নিম্নোক্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সদস্যপদ লাভ করেছেঃ
১। বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে 'International Search and Rescue Advisory Group (INSARAG)’ এর ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে।
২। ইন্টারন্যাশনাল ফায়ার চিফস অ্যাসোসিয়েশন অব এশিয়া (IFFCAA),
৩। ন্যাশনাল প্লাটফরম ফর ডিজাস্টার রিডাকশন ইন বাংলাদেশ;
৪। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অ্যাডভাইজরি কমিটি ও
৫। বাংলাদেশ আর্থকোয়াক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড অ্যাওয়ারনেস কমিটি।
ক্রীড়া ক্ষেত্রে সাফল্যঃ
ফিলোসোফিয়া দ্বিতীয় বিভাগ দাবা লীগে গত বছর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্পোর্টস ক্লাব অংশগ্রহণ করে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। মোট ১৪ পয়েন্টের মধ্যে ১২ পয়েন্ট সংগ্রহ করে তারা এ বিজয় অর্জন করে এবং এ বছরের দাবা প্রতিযোগিতায় ফায়ার সার্ভিসের দাবা দল রানার্স আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এছাড়া ভলিবল ও কাবাডি টীম ঢাকা মহানগরী প্রিমিয়ার লীগসহ জাতীয় দিবস পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত টুর্নামেন্টে নিয়মিত অংশ গ্রহণ করে থাকে।
পরিবার কল্যাণ সমিতি গঠনঃ
সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সহধর্মিনীদের উদ্যোগে গঠিত হয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স পরিবার কল্যান সমিতি। এই সমিতি গঠনের মাধ্যমে অধিদপ্তরের কর্মরত সদস্যদের পরিবার সমূহের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্কের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়েছে এবং বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
নতুন পোশাক প্রবর্তনঃ
স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর খাকি পোশাক ছিল এই বিভাগের এতদিনের ইউনিফরম। এই পোশাক পরিবর্তন ছিল অত্র বিভাগের কর্মীদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা। বর্তমান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সরকার বিষয়টিকে বিবেচনায় নিয়ে এ বিভাগের খাকি পোশাক পরিবর্তন করে নতুন পোশাক প্রবর্তন করেছে। ফলে এ বিভাগের কর্মীদের দীর্ঘদিনের একটি আকাঙ্খা আলোর মুখ দেখেছে। নতুন পোশাক প্রবর্তনের ফলে এ বিভাগের কর্মীরা এখন আরো উজ্জীবিত ও দিন বদলানোর সনদ বাস্তবায়নে তারা নতুন প্রেরণায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ঝুঁকি ভাতা ও পূর্ণাঙ্গ রেশন বাস্তবায়নঃ
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অগ্নি নির্বাপনের ঝুঁকির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অপারেশনাল কর্মীদের জন্য দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ঝুঁকিভাতা চালু করেছে। এ ছাড়া এ বিভাগের ইউনিফর্মধারী কর্মীরা নামমাত্র পরিমাণ রেশন পেতেন। বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর বিষয়টি সুবিবেচনায় নিয়ে এই বিভাগের অপারেশনাল এবং নন-অপারেশনাল সকল স্টাফদের জন্য পূর্ণাঙ্গ রেশন বাস্তবায়ন করেছে। এটি বিভাগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি বড় প্রাপ্তি।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস